• শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
  • ||

সাংবাদিকদের ওপরও রাবি’র শিক্ষার্থীদের হামলা 

প্রকাশ:  ১২ মার্চ ২০২৩, ১৪:৩৯
রাজশাহী প্রতিনিধি

তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থী ও স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার দ্বিতীয় দিনের মত উত্তপ্ত অবস্থা বিরাজ করছে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। এরই ধারাবাহিকতায় রোববার সকাল থেকে শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করছে চারুকলা বিভাগের সামনে। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলার ঘটনার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করে। এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাবি ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে। এসময় সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদের ওপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ভিসি শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলতে এলে তাকে ‘সাবাস বাংলা মাঠে’ অবরুদ্ধ করে রাখা হয়। দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভিসিকে অবরুদ্ধ করে রাখা ছিল। বর্তমানে ভিসিকে রাবির শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ সিনেট ভবনের সামনে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে।

মূলত শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডে দক্ষিণ পাশে অবস্থিত উপাচার্য ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এসময় তারা ‘জ্বালো জ্বালো, আগুন জ্বালো’ স্লোগান দিতে থাকেন। পরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে কথা বলতে এলে রোষানলে পড়েন তিনি। সেখানে উপাচার্যকে উদ্দেশ করে শিক্ষার্থীরা ‘ভুয়া, ভুয়া’ বলে স্লোগান দিতে থাকে।

এর আগে, এদিন সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন ভবনের ফটকে তালা দিয়ে সামনে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে উপাচার্য ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা অবস্থান নেন।

শিক্ষার্থীরা ভিসির বাসভবন ঘেরাও করলে সেখানে সাংবাদিকরা ছবি তুলতে যান। এসময় শিক্ষার্থীরা চ্যানেল২৪ এর রিপোর্টার আবরার শাঈর, ক্যামেরাম্যান জুয়েলের ওপর হামলা চালায়। এতে ক্যামেরা ভেঙে যায়। এছাড়াও কালের কণ্ঠ পত্রিকার ফটো-সাংবাদিক সালাহ উদ্দিনের ওপর হামলা করে ক্যামেরা ভাঙচুর করে।

এদিকে, শিক্ষার্থীরা সকাল থেকে বেশ কিছু দাবি তুলে ধরে ভিসির বাসভবন ঘেরাও করে রাখে। তাদের দাবিগুলো হলো- শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী স্থানীয় ও পুলিশ সদস্যদের বিচার, বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের প্রবেশ বন্ধ ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত, বিশ্ববিদ্যালয়কে শতভাগ আবাসিক করা, আহত শিক্ষার্থীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত, ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা ও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন নীতি-নির্ধারণে শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

রাজশাহী নগরীর মতিয়া থানার ওসি হাফিজুর রহমান জানান, পরিস্থিতি এখন পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আব্দুল বাতেন/এআই

রাবি

সারাদেশ

অনুসন্ধান করুন
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত
close